ভ‍্যাকসিন নিয়ে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাজির পুলিশ

2nd September 2021 1:42 pm বর্ধমান
ভ‍্যাকসিন নিয়ে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাজির পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দুর্গাপুরে।ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উত্তেজিত গ্রহীতারা প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে।দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪২নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ঘটনায় উত্তেজিত গ্রহীতারা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেন।পড়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে,পুলিশকে ঘিরে ধরেও ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রহীতারা।অভিযোগ,স্লট বুকিং করে ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও ভেতর থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা স্থানীয়দের বুকিং ছাড়াই ভ্যাকসিন দিয়ে দিচ্ছে,অথচ দীর্ঘ লাইনে তাড়া দাঁড়িয়ে আছেন।সাস্থ্য বিধি শিকেয় তুলে দিয়ে ব্যাপক ভিড় করে উত্তেজিত গ্রহীতারা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে,যে ক্ষোভ সামলাতে পারেনি কোকওভেন থানার পুলিশও।বন্ধ করে দেওয়া হয় ভ্যাকসিনেশোনের কাজ,শুরু হয় শ্যামপুর সাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে চূড়ান্ত ব্রিসিঙ্খলা।সাস্থ্য বিধি শিকেয় তুলে দিয়ে ভিড় জমিয়ে শুরু হয় গ্রহীতাদের হুড়োহুড়ি,পরিস্থিতি সামলাতে ব্যাপক বেগ পেতে হয় পুলিশকে।অবিলম্বে স্থানীয় দের স্লট বুকিং ছাড়া বেলাইনে ঢোকানো বন্ধ করার দাবী ওঠে।প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর শুরু হয় ফের ভ্যাকসিনের কাজ।যদিও স্বাস্থ্য কর্মীরা কোনোরকম দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।